সংগৃহীত ছবি
ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো মালিকানাগত সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ দাবি জানান। সকালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএনপির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগ আমাদের জন্য দুঃখজনক। এর ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা—এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো মালিকানা নেই। বিএনপি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আমরা চাইলে তারাও বিতর্কিত দাবি তুলতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা প্রস্তাব জমা দেয়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে ভোট প্রদানের বিধান বহাল রাখার দাবি তোলে। দলটির দাবি, এই বিধান বাতিলের যেকোনো উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের উদাহরণ হবে।
এর আগে বিএনপি গত ২৩ অক্টোবর ৩৬ দফা প্রস্তাব দেয় যেখানে ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবি জানানো হয়।
জামায়াতের ১৮ দফা
১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরেই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধিত বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে; অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এই বিধান বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
৫. সব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করতে হবে।
৬. সব ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৭. বিগত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি) নিয়োগ শতভাগ লটারির ভিত্তিতে দিতে হবে।
৮. রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সামরিক, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১০. নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা হবে।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অতীতে দলীয় প্রয়োজনে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা করতে হবে।
১২. নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
১৩. ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকায় ও বহির্ভূত স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে দমন করতে হবে।
১৪. ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি স্পষ্ট না হলে তা সংশোধন করে চিত্রসহ তালিকা পোলিং অ্যাজেন্টদের যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হোক, রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করতে হবে।
১৮. অতীতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে।
সংগৃহীত ছবি
ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো মালিকানাগত সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ দাবি জানান। সকালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএনপির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগ আমাদের জন্য দুঃখজনক। এর ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা—এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো মালিকানা নেই। বিএনপি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আমরা চাইলে তারাও বিতর্কিত দাবি তুলতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা প্রস্তাব জমা দেয়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে ভোট প্রদানের বিধান বহাল রাখার দাবি তোলে। দলটির দাবি, এই বিধান বাতিলের যেকোনো উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের উদাহরণ হবে।
এর আগে বিএনপি গত ২৩ অক্টোবর ৩৬ দফা প্রস্তাব দেয় যেখানে ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবি জানানো হয়।
জামায়াতের ১৮ দফা
১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরেই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধিত বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে; অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এই বিধান বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
৫. সব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করতে হবে।
৬. সব ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৭. বিগত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি) নিয়োগ শতভাগ লটারির ভিত্তিতে দিতে হবে।
৮. রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সামরিক, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১০. নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা হবে।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অতীতে দলীয় প্রয়োজনে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা করতে হবে।
১২. নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
১৩. ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকায় ও বহির্ভূত স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে দমন করতে হবে।
১৪. ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি স্পষ্ট না হলে তা সংশোধন করে চিত্রসহ তালিকা পোলিং অ্যাজেন্টদের যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হোক, রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করতে হবে।
১৮. অতীতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে।
সংগৃহীত ছবি
ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো মালিকানাগত সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ দাবি জানান। সকালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএনপির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগ আমাদের জন্য দুঃখজনক। এর ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা—এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো মালিকানা নেই। বিএনপি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আমরা চাইলে তারাও বিতর্কিত দাবি তুলতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা প্রস্তাব জমা দেয়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে ভোট প্রদানের বিধান বহাল রাখার দাবি তোলে। দলটির দাবি, এই বিধান বাতিলের যেকোনো উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের উদাহরণ হবে।
এর আগে বিএনপি গত ২৩ অক্টোবর ৩৬ দফা প্রস্তাব দেয় যেখানে ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবি জানানো হয়।
জামায়াতের ১৮ দফা
১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরেই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধিত বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে; অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এই বিধান বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
৫. সব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করতে হবে।
৬. সব ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৭. বিগত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি) নিয়োগ শতভাগ লটারির ভিত্তিতে দিতে হবে।
৮. রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সামরিক, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১০. নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা হবে।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অতীতে দলীয় প্রয়োজনে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা করতে হবে।
১২. নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
১৩. ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকায় ও বহির্ভূত স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে দমন করতে হবে।
১৪. ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি স্পষ্ট না হলে তা সংশোধন করে চিত্রসহ তালিকা পোলিং অ্যাজেন্টদের যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হোক, রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করতে হবে।
১৮. অতীতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে।
সংগৃহীত ছবি
ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোনো মালিকানাগত সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ দাবি জানান। সকালে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিএনপির আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির এই অভিযোগ আমাদের জন্য দুঃখজনক। এর ঘোর আপত্তি জানাই। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা—এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জামায়াতের কোনো মালিকানা নেই। বিএনপি অনেক বড় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। আমরা চাইলে তারাও বিতর্কিত দাবি তুলতে পারতাম, কিন্তু করিনি।’
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিন জামায়াত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৮ দফা প্রস্তাব জমা দেয়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী আইন (আরপিও) অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে ভোট প্রদানের বিধান বহাল রাখার দাবি তোলে। দলটির দাবি, এই বিধান বাতিলের যেকোনো উদ্যোগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গের উদাহরণ হবে।
এর আগে বিএনপি গত ২৩ অক্টোবর ৩৬ দফা প্রস্তাব দেয় যেখানে ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে না রাখার দাবি জানানো হয়।
জামায়াতের ১৮ দফা
১. জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির পরেই আগামী নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
২. উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধিত বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে; অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। এই বিধান বহাল রাখতে হবে।
৩. নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রত্যেক স্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত প্রিসাইডিং, পোলিং, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োগে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
৫. সব ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করতে হবে।
৬. সব ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনী বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৭. বিগত বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। মাঠপর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি) নিয়োগ শতভাগ লটারির ভিত্তিতে দিতে হবে।
৮. রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে প্রশাসনের অফিসারদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে সামরিক, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১০. নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নির্বাচনী মাঠ সমতল করা হবে।
১১. সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে, অতীতে দলীয় প্রয়োজনে দেওয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে তা সরকারের কাছে জমা করতে হবে।
১২. নির্বাচনী এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
১৩. ভোটারদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াত নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকায় ও বহির্ভূত স্থানে সন্ত্রাসী তৎপরতা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে দমন করতে হবে।
১৪. ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি স্পষ্ট না হলে তা সংশোধন করে চিত্রসহ তালিকা পোলিং অ্যাজেন্টদের যথাসময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৫. নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত পোলিং, প্রিসাইডিং অফিসার, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে।
১৬. প্রবাসী ভোটারদের ভোট প্রদানের পদ্ধতি সহজ করতে ভোটার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট যেকোনো একটির মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়া হোক, রেজিস্টার্ড প্রবাসী ভোটারদের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোকে যৌক্তিক সময়ে সরবরাহ করতে হবে।
১৭. নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করতে হবে।
১৮. অতীতে ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!