বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতির খাদ্য জোগানদাতাদের তথা কৃষকদের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে কৃষকদের পরিশ্রমে, ত্যাগে ও সহনশীলতায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, বগুড়ার উর্বর জমি থেকে শুরু করে বরিশালের ভাসমান বাগান—প্রত্যেকটি শস্যদানা বহন করে কৃষকদের ধৈর্যের কাহিনি এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের গল্প।
তিনি আরও লেখেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে ওঠে সরকার, কৃষক, উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যারা একসাথে মিলে একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ করে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক সময়ে নেতৃত্বে আসেন, যখন জাতি দুর্ভিক্ষ ও হতাশার ছায়ায় আচ্ছন্ন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো প্রকৃত মূল্য নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্ভরতাকে পেছনে ফেলে সম্মানের পথে যাত্রা শুরু করে—সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এমন এক জাতিকে খাদ্য জোগানো শুরু হয়, যারা এক সময় দুর্ভিক্ষের মুখ দেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। সার ভর্তুকি, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এবং ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়, যা গ্রামীণ জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো পরিবার অনাহারে না থাকে।
তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ, যখন বাংলাদেশ খাদ্যের উচ্চমূল্য, পানির সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখোমুখি, তখন আমাদের এই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শুধু নিজেদের জন্য নয় বরং তাদের জন্যও, যারা আমাদের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা ও খাদ্যের আশায় আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি পরিবার মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় দিন পার করছে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা দেশ ও বেসরকারি অংশীদারদের সমন্বয়ে জরুরি, সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেন বিশ্ব একসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করতে পারে।
এই কঠিন বাস্তবতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, গাজা, সুদান, ইয়েমেন অথবা আমাদের নিজেদের দোরগোড়ায়, খাদ্য সংকটের চিত্র সর্বত্র। বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য ও কৃষিনীতিকে হতে হবে মানবিক ও উদ্ভাবননির্ভর।
নতুন প্রযুক্তি, কৌশল এবং সংকল্পের মাধ্যমে বিএনপি এমন একটি খাদ্য ব্যবস্থা কল্পনা করে যা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মডেল কৃষকের সম্মান রক্ষা করবে, উদ্ভাবনকে স্বাগত জানাবে এবং বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের দাবি জানাবে, এভাবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখাতে পারবে, ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার যুগেও নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বিএনপির খাদ্য নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছয়টি প্রধান অঙ্গীকারও ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—
১. কৃষক কার্ড উদ্যোগ প্রত্যেক কৃষককে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্যমূল্য, ঋণ, ফসল বীমা এবং সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই। এটি কৃষকদের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে এবং তাদের জাতীয় অর্থনীতির সমান অংশীদার করে তুলবে।
২. জলবায়ু-সহনশীল কৃষি ও পানিসুরক্ষা ২০ হাজার কিমি নদী ও খাল পুনঃখনন, কমিউনিটি সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
৩. পানিসংরক্ষণ-ভিত্তিক কৃষিকাজ ‘অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রায়িং’ পদ্ধতির ধানচাষ সম্প্রসারণ করা হবে, যা নির্গমন হ্রাস করবে, পানি সংরক্ষণ করবে এবং বাংলাদেশের জন্য মিলিয়ন ডলারের কার্বন ক্রেডিট অর্জন করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের গৃহপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করা হবে, যা নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও পারিবারিক কল্যাণে সহায়ক হবে।
৫. কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে—ঠান্ডা সংরক্ষণ, রপ্তানিমুখী খাদ্য শিল্প থেকে শুরু করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষকদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে। আধুনিক শস্য ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা হবে, যাতে কৃষক বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ভোক্তারা অপচয় কমায়। তরুণদের কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তায় আকৃষ্ট করতে যন্ত্রায়ন, ড্রোন প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ফান্ড সরবরাহ করা হবে।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সারা দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ মডেল চালু করা হবে, যা প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্যকে পুনঃব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তর করবে—রিসাইক্লিং হাব, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট ও গ্রামীণ বায়োগ্যাস ব্যবস্থার মাধ্যমে। ভবিষ্যৎ নীতিমালার আওতায় কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ আধুনিকীকরণ করে উন্নত বীজ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে সরাসরি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সবশেষে তারেক রহমান লিখেছেন, নিশ্চয়তার অভাবে ভরা এক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, প্রমাণ করে দিতে পারে যে, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসইতা এবং কৃষকদের মর্যাদা কেবল দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং অর্জনযোগ্য বাস্তবতা।
বাংলাদেশের শক্তি বরাবরই ছিল এর মাটিতে কাজ করা হাতগুলোতে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে, যাতে তারা গড়ে তুলতে পারে জাতির ভবিষ্যৎ।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতির খাদ্য জোগানদাতাদের তথা কৃষকদের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে কৃষকদের পরিশ্রমে, ত্যাগে ও সহনশীলতায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, বগুড়ার উর্বর জমি থেকে শুরু করে বরিশালের ভাসমান বাগান—প্রত্যেকটি শস্যদানা বহন করে কৃষকদের ধৈর্যের কাহিনি এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের গল্প।
তিনি আরও লেখেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে ওঠে সরকার, কৃষক, উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যারা একসাথে মিলে একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ করে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক সময়ে নেতৃত্বে আসেন, যখন জাতি দুর্ভিক্ষ ও হতাশার ছায়ায় আচ্ছন্ন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো প্রকৃত মূল্য নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্ভরতাকে পেছনে ফেলে সম্মানের পথে যাত্রা শুরু করে—সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এমন এক জাতিকে খাদ্য জোগানো শুরু হয়, যারা এক সময় দুর্ভিক্ষের মুখ দেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। সার ভর্তুকি, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এবং ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়, যা গ্রামীণ জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো পরিবার অনাহারে না থাকে।
তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ, যখন বাংলাদেশ খাদ্যের উচ্চমূল্য, পানির সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখোমুখি, তখন আমাদের এই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শুধু নিজেদের জন্য নয় বরং তাদের জন্যও, যারা আমাদের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা ও খাদ্যের আশায় আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি পরিবার মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় দিন পার করছে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা দেশ ও বেসরকারি অংশীদারদের সমন্বয়ে জরুরি, সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেন বিশ্ব একসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করতে পারে।
এই কঠিন বাস্তবতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, গাজা, সুদান, ইয়েমেন অথবা আমাদের নিজেদের দোরগোড়ায়, খাদ্য সংকটের চিত্র সর্বত্র। বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য ও কৃষিনীতিকে হতে হবে মানবিক ও উদ্ভাবননির্ভর।
নতুন প্রযুক্তি, কৌশল এবং সংকল্পের মাধ্যমে বিএনপি এমন একটি খাদ্য ব্যবস্থা কল্পনা করে যা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মডেল কৃষকের সম্মান রক্ষা করবে, উদ্ভাবনকে স্বাগত জানাবে এবং বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের দাবি জানাবে, এভাবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখাতে পারবে, ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার যুগেও নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বিএনপির খাদ্য নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছয়টি প্রধান অঙ্গীকারও ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—
১. কৃষক কার্ড উদ্যোগ প্রত্যেক কৃষককে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্যমূল্য, ঋণ, ফসল বীমা এবং সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই। এটি কৃষকদের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে এবং তাদের জাতীয় অর্থনীতির সমান অংশীদার করে তুলবে।
২. জলবায়ু-সহনশীল কৃষি ও পানিসুরক্ষা ২০ হাজার কিমি নদী ও খাল পুনঃখনন, কমিউনিটি সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
৩. পানিসংরক্ষণ-ভিত্তিক কৃষিকাজ ‘অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রায়িং’ পদ্ধতির ধানচাষ সম্প্রসারণ করা হবে, যা নির্গমন হ্রাস করবে, পানি সংরক্ষণ করবে এবং বাংলাদেশের জন্য মিলিয়ন ডলারের কার্বন ক্রেডিট অর্জন করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের গৃহপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করা হবে, যা নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও পারিবারিক কল্যাণে সহায়ক হবে।
৫. কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে—ঠান্ডা সংরক্ষণ, রপ্তানিমুখী খাদ্য শিল্প থেকে শুরু করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষকদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে। আধুনিক শস্য ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা হবে, যাতে কৃষক বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ভোক্তারা অপচয় কমায়। তরুণদের কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তায় আকৃষ্ট করতে যন্ত্রায়ন, ড্রোন প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ফান্ড সরবরাহ করা হবে।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সারা দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ মডেল চালু করা হবে, যা প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্যকে পুনঃব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তর করবে—রিসাইক্লিং হাব, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট ও গ্রামীণ বায়োগ্যাস ব্যবস্থার মাধ্যমে। ভবিষ্যৎ নীতিমালার আওতায় কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ আধুনিকীকরণ করে উন্নত বীজ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে সরাসরি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সবশেষে তারেক রহমান লিখেছেন, নিশ্চয়তার অভাবে ভরা এক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, প্রমাণ করে দিতে পারে যে, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসইতা এবং কৃষকদের মর্যাদা কেবল দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং অর্জনযোগ্য বাস্তবতা।
বাংলাদেশের শক্তি বরাবরই ছিল এর মাটিতে কাজ করা হাতগুলোতে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে, যাতে তারা গড়ে তুলতে পারে জাতির ভবিষ্যৎ।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতির খাদ্য জোগানদাতাদের তথা কৃষকদের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে কৃষকদের পরিশ্রমে, ত্যাগে ও সহনশীলতায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, বগুড়ার উর্বর জমি থেকে শুরু করে বরিশালের ভাসমান বাগান—প্রত্যেকটি শস্যদানা বহন করে কৃষকদের ধৈর্যের কাহিনি এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের গল্প।
তিনি আরও লেখেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে ওঠে সরকার, কৃষক, উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যারা একসাথে মিলে একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ করে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক সময়ে নেতৃত্বে আসেন, যখন জাতি দুর্ভিক্ষ ও হতাশার ছায়ায় আচ্ছন্ন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো প্রকৃত মূল্য নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্ভরতাকে পেছনে ফেলে সম্মানের পথে যাত্রা শুরু করে—সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এমন এক জাতিকে খাদ্য জোগানো শুরু হয়, যারা এক সময় দুর্ভিক্ষের মুখ দেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। সার ভর্তুকি, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এবং ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়, যা গ্রামীণ জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো পরিবার অনাহারে না থাকে।
তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ, যখন বাংলাদেশ খাদ্যের উচ্চমূল্য, পানির সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখোমুখি, তখন আমাদের এই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শুধু নিজেদের জন্য নয় বরং তাদের জন্যও, যারা আমাদের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা ও খাদ্যের আশায় আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি পরিবার মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় দিন পার করছে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা দেশ ও বেসরকারি অংশীদারদের সমন্বয়ে জরুরি, সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেন বিশ্ব একসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করতে পারে।
এই কঠিন বাস্তবতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, গাজা, সুদান, ইয়েমেন অথবা আমাদের নিজেদের দোরগোড়ায়, খাদ্য সংকটের চিত্র সর্বত্র। বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য ও কৃষিনীতিকে হতে হবে মানবিক ও উদ্ভাবননির্ভর।
নতুন প্রযুক্তি, কৌশল এবং সংকল্পের মাধ্যমে বিএনপি এমন একটি খাদ্য ব্যবস্থা কল্পনা করে যা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মডেল কৃষকের সম্মান রক্ষা করবে, উদ্ভাবনকে স্বাগত জানাবে এবং বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের দাবি জানাবে, এভাবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখাতে পারবে, ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার যুগেও নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বিএনপির খাদ্য নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছয়টি প্রধান অঙ্গীকারও ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—
১. কৃষক কার্ড উদ্যোগ প্রত্যেক কৃষককে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্যমূল্য, ঋণ, ফসল বীমা এবং সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই। এটি কৃষকদের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে এবং তাদের জাতীয় অর্থনীতির সমান অংশীদার করে তুলবে।
২. জলবায়ু-সহনশীল কৃষি ও পানিসুরক্ষা ২০ হাজার কিমি নদী ও খাল পুনঃখনন, কমিউনিটি সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
৩. পানিসংরক্ষণ-ভিত্তিক কৃষিকাজ ‘অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রায়িং’ পদ্ধতির ধানচাষ সম্প্রসারণ করা হবে, যা নির্গমন হ্রাস করবে, পানি সংরক্ষণ করবে এবং বাংলাদেশের জন্য মিলিয়ন ডলারের কার্বন ক্রেডিট অর্জন করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের গৃহপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করা হবে, যা নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও পারিবারিক কল্যাণে সহায়ক হবে।
৫. কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে—ঠান্ডা সংরক্ষণ, রপ্তানিমুখী খাদ্য শিল্প থেকে শুরু করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষকদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে। আধুনিক শস্য ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা হবে, যাতে কৃষক বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ভোক্তারা অপচয় কমায়। তরুণদের কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তায় আকৃষ্ট করতে যন্ত্রায়ন, ড্রোন প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ফান্ড সরবরাহ করা হবে।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সারা দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ মডেল চালু করা হবে, যা প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্যকে পুনঃব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তর করবে—রিসাইক্লিং হাব, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট ও গ্রামীণ বায়োগ্যাস ব্যবস্থার মাধ্যমে। ভবিষ্যৎ নীতিমালার আওতায় কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ আধুনিকীকরণ করে উন্নত বীজ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে সরাসরি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সবশেষে তারেক রহমান লিখেছেন, নিশ্চয়তার অভাবে ভরা এক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, প্রমাণ করে দিতে পারে যে, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসইতা এবং কৃষকদের মর্যাদা কেবল দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং অর্জনযোগ্য বাস্তবতা।
বাংলাদেশের শক্তি বরাবরই ছিল এর মাটিতে কাজ করা হাতগুলোতে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে, যাতে তারা গড়ে তুলতে পারে জাতির ভবিষ্যৎ।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে জাতির খাদ্য জোগানদাতাদের তথা কৃষকদের প্রতি আন্তরিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে কৃষকদের পরিশ্রমে, ত্যাগে ও সহনশীলতায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেছেন, বগুড়ার উর্বর জমি থেকে শুরু করে বরিশালের ভাসমান বাগান—প্রত্যেকটি শস্যদানা বহন করে কৃষকদের ধৈর্যের কাহিনি এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের গল্প।
তিনি আরও লেখেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রকৃত খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে ওঠে সরকার, কৃষক, উদ্যোক্তাদের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, যারা একসাথে মিলে একটি টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নির্মাণে কাজ করে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এমন এক সময়ে নেতৃত্বে আসেন, যখন জাতি দুর্ভিক্ষ ও হতাশার ছায়ায় আচ্ছন্ন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাতীয় স্বাধীনতার কোনো প্রকৃত মূল্য নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নির্ভরতাকে পেছনে ফেলে সম্মানের পথে যাত্রা শুরু করে—সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে এমন এক জাতিকে খাদ্য জোগানো শুরু হয়, যারা এক সময় দুর্ভিক্ষের মুখ দেখেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেন। সার ভর্তুকি, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন এবং ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করা হয়, যা গ্রামীণ জীবনকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নিশ্চিত করে যে কোনো পরিবার অনাহারে না থাকে।
তারেক রহমান আরও লেখেন, আজ, যখন বাংলাদেশ খাদ্যের উচ্চমূল্য, পানির সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখোমুখি, তখন আমাদের এই ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। শুধু নিজেদের জন্য নয় বরং তাদের জন্যও, যারা আমাদের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা ও খাদ্যের আশায় আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় প্রতি পরিবার মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় দিন পার করছে।
বিএনপি বিশ্বাস করে, এই সংকট মোকাবিলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, দাতা দেশ ও বেসরকারি অংশীদারদের সমন্বয়ে জরুরি, সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যেন বিশ্ব একসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার পুনঃনিশ্চিত করতে পারে।
এই কঠিন বাস্তবতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা কতটা সংকটাপন্ন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, গাজা, সুদান, ইয়েমেন অথবা আমাদের নিজেদের দোরগোড়ায়, খাদ্য সংকটের চিত্র সর্বত্র। বাংলাদেশে আমাদের খাদ্য ও কৃষিনীতিকে হতে হবে মানবিক ও উদ্ভাবননির্ভর।
নতুন প্রযুক্তি, কৌশল এবং সংকল্পের মাধ্যমে বিএনপি এমন একটি খাদ্য ব্যবস্থা কল্পনা করে যা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার মডেল কৃষকের সম্মান রক্ষা করবে, উদ্ভাবনকে স্বাগত জানাবে এবং বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের দাবি জানাবে, এভাবে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখাতে পারবে, ক্ষুধা ও অনিশ্চয়তার যুগেও নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বিএনপির খাদ্য নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছয়টি প্রধান অঙ্গীকারও ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন তারেক রহমান। সেগুলো হলো—
১. কৃষক কার্ড উদ্যোগ প্রত্যেক কৃষককে একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্যমূল্য, ঋণ, ফসল বীমা এবং সরকারি ক্রয় সুবিধা পাবেন মধ্যস্বত্বভোগীদের ছাড়াই। এটি কৃষকদের শোষণ থেকে মুক্তি দেবে এবং তাদের জাতীয় অর্থনীতির সমান অংশীদার করে তুলবে।
২. জলবায়ু-সহনশীল কৃষি ও পানিসুরক্ষা ২০ হাজার কিমি নদী ও খাল পুনঃখনন, কমিউনিটি সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।
৩. পানিসংরক্ষণ-ভিত্তিক কৃষিকাজ ‘অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রায়িং’ পদ্ধতির ধানচাষ সম্প্রসারণ করা হবে, যা নির্গমন হ্রাস করবে, পানি সংরক্ষণ করবে এবং বাংলাদেশের জন্য মিলিয়ন ডলারের কার্বন ক্রেডিট অর্জন করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের গৃহপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করা হবে, যা নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও পারিবারিক কল্যাণে সহায়ক হবে।
৫. কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে—ঠান্ডা সংরক্ষণ, রপ্তানিমুখী খাদ্য শিল্প থেকে শুরু করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষকদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে। আধুনিক শস্য ও ঠান্ডা সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা হবে, যাতে কৃষক বেশি উপার্জন করতে পারে এবং ভোক্তারা অপচয় কমায়। তরুণদের কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তায় আকৃষ্ট করতে যন্ত্রায়ন, ড্রোন প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ফান্ড সরবরাহ করা হবে।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সারা দেশে ‘সার্কুলার ইকোনমি’ মডেল চালু করা হবে, যা প্লাস্টিক, ই-বর্জ্য ও কৃষিজ বর্জ্যকে পুনঃব্যবহারযোগ্য সম্পদে রূপান্তর করবে—রিসাইক্লিং হাব, বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্ল্যান্ট ও গ্রামীণ বায়োগ্যাস ব্যবস্থার মাধ্যমে। ভবিষ্যৎ নীতিমালার আওতায় কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ আধুনিকীকরণ করে উন্নত বীজ, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিকে সরাসরি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
সবশেষে তারেক রহমান লিখেছেন, নিশ্চয়তার অভাবে ভরা এক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, প্রমাণ করে দিতে পারে যে, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসইতা এবং কৃষকদের মর্যাদা কেবল দূরবর্তী স্বপ্ন নয়, বরং অর্জনযোগ্য বাস্তবতা।
বাংলাদেশের শক্তি বরাবরই ছিল এর মাটিতে কাজ করা হাতগুলোতে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে ক্ষমতায়ন করবে, যাতে তারা গড়ে তুলতে পারে জাতির ভবিষ্যৎ।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!