নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে হামলা-বিক্ষোভ ও হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ভারতের দেওয়া ব্যাখ্যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ঘটনাটিকে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ঢাকা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস নোটে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টিকে যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাস্তবে ঘটনা ততটা সাধারণ ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের হাইকমিশন কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে অবস্থিত। এটি কোনোভাবেই কূটনৈতিক এলাকার বাইরের স্থান নয়। ভারতের দাবি অনুযায়ী ২০-২৫ জন সেখানে বিক্ষোভ করেছে বলা হলেও সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। প্রশ্ন হলো, একটি সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় কীভাবে চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা প্রবেশ করতে পারলো। এতে স্পষ্ট হয়, কোনো না কোনোভাবে তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে হত্যার হুমকির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরাসরি লিখিত প্রমাণ না থাকলেও এমন হুমকির তথ্য সরকারের কাছে এসেছে। মূল উদ্বেগের বিষয় হলো—কূটনৈতিক মিশনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে এ ধরনের হুমকি দেওয়া সম্ভব হলো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি শুধু স্লোগান বা বিক্ষোভের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হাইকমিশনের ভেতরে হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার বসবাস করেন। তারা এ ঘটনায় হুমকি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেননি। অথচ কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।
কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। ভারত দাবি করেছে, তারা সব কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—বাংলাদেশ এ বক্তব্য নোট করেছে, তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘ভুল তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের গণমাধ্যমে মূলত সঠিক তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলা সঠিক নয়।
ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের উদ্বেগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এটিকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার যৌক্তিকতা নেই। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যা বাংলাদেশ করছে।
দিল্লির ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ বা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতকে তলব করা হবে কি না—এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবাদের ফরম্যাট নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সমীচীন নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে মিশনের কার্যক্রম সীমিত করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে হামলা-বিক্ষোভ ও হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ভারতের দেওয়া ব্যাখ্যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ঘটনাটিকে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ঢাকা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস নোটে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টিকে যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাস্তবে ঘটনা ততটা সাধারণ ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের হাইকমিশন কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে অবস্থিত। এটি কোনোভাবেই কূটনৈতিক এলাকার বাইরের স্থান নয়। ভারতের দাবি অনুযায়ী ২০-২৫ জন সেখানে বিক্ষোভ করেছে বলা হলেও সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। প্রশ্ন হলো, একটি সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় কীভাবে চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা প্রবেশ করতে পারলো। এতে স্পষ্ট হয়, কোনো না কোনোভাবে তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে হত্যার হুমকির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরাসরি লিখিত প্রমাণ না থাকলেও এমন হুমকির তথ্য সরকারের কাছে এসেছে। মূল উদ্বেগের বিষয় হলো—কূটনৈতিক মিশনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে এ ধরনের হুমকি দেওয়া সম্ভব হলো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি শুধু স্লোগান বা বিক্ষোভের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হাইকমিশনের ভেতরে হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার বসবাস করেন। তারা এ ঘটনায় হুমকি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেননি। অথচ কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।
কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। ভারত দাবি করেছে, তারা সব কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—বাংলাদেশ এ বক্তব্য নোট করেছে, তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘ভুল তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের গণমাধ্যমে মূলত সঠিক তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলা সঠিক নয়।
ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের উদ্বেগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এটিকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার যৌক্তিকতা নেই। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যা বাংলাদেশ করছে।
দিল্লির ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ বা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতকে তলব করা হবে কি না—এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবাদের ফরম্যাট নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সমীচীন নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে মিশনের কার্যক্রম সীমিত করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে হামলা-বিক্ষোভ ও হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ভারতের দেওয়া ব্যাখ্যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ঘটনাটিকে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ঢাকা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস নোটে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টিকে যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাস্তবে ঘটনা ততটা সাধারণ ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের হাইকমিশন কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে অবস্থিত। এটি কোনোভাবেই কূটনৈতিক এলাকার বাইরের স্থান নয়। ভারতের দাবি অনুযায়ী ২০-২৫ জন সেখানে বিক্ষোভ করেছে বলা হলেও সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। প্রশ্ন হলো, একটি সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় কীভাবে চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা প্রবেশ করতে পারলো। এতে স্পষ্ট হয়, কোনো না কোনোভাবে তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে হত্যার হুমকির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরাসরি লিখিত প্রমাণ না থাকলেও এমন হুমকির তথ্য সরকারের কাছে এসেছে। মূল উদ্বেগের বিষয় হলো—কূটনৈতিক মিশনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে এ ধরনের হুমকি দেওয়া সম্ভব হলো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি শুধু স্লোগান বা বিক্ষোভের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হাইকমিশনের ভেতরে হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার বসবাস করেন। তারা এ ঘটনায় হুমকি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেননি। অথচ কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।
কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। ভারত দাবি করেছে, তারা সব কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—বাংলাদেশ এ বক্তব্য নোট করেছে, তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘ভুল তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের গণমাধ্যমে মূলত সঠিক তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলা সঠিক নয়।
ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের উদ্বেগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এটিকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার যৌক্তিকতা নেই। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যা বাংলাদেশ করছে।
দিল্লির ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ বা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতকে তলব করা হবে কি না—এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবাদের ফরম্যাট নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সমীচীন নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে মিশনের কার্যক্রম সীমিত করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে হামলা-বিক্ষোভ ও হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ভারতের দেওয়া ব্যাখ্যা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ঘটনাটিকে কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ঢাকা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস নোটে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টিকে যতটা সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাস্তবে ঘটনা ততটা সাধারণ ছিল না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের হাইকমিশন কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে অবস্থিত। এটি কোনোভাবেই কূটনৈতিক এলাকার বাইরের স্থান নয়। ভারতের দাবি অনুযায়ী ২০-২৫ জন সেখানে বিক্ষোভ করেছে বলা হলেও সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। প্রশ্ন হলো, একটি সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় কীভাবে চরমপন্থি সংগঠনের সদস্যরা প্রবেশ করতে পারলো। এতে স্পষ্ট হয়, কোনো না কোনোভাবে তাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক নিয়মের পরিপন্থী।
হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাকে হত্যার হুমকির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সরাসরি লিখিত প্রমাণ না থাকলেও এমন হুমকির তথ্য সরকারের কাছে এসেছে। মূল উদ্বেগের বিষয় হলো—কূটনৈতিক মিশনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে এ ধরনের হুমকি দেওয়া সম্ভব হলো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি শুধু স্লোগান বা বিক্ষোভের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হাইকমিশনের ভেতরে হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার বসবাস করেন। তারা এ ঘটনায় হুমকি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। মাত্র দুজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেননি। অথচ কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব।
কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও ভিয়েনা কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি। ভারত দাবি করেছে, তারা সব কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—বাংলাদেশ এ বক্তব্য নোট করেছে, তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘ভুল তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের গণমাধ্যমে মূলত সঠিক তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোকে বিভ্রান্তিকর বলা সঠিক নয়।
ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের উদ্বেগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন। এটিকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার যৌক্তিকতা নেই। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ শুধু বাংলাদেশেই নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ঘটে থাকে। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যা বাংলাদেশ করছে।
দিল্লির ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ বা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতকে তলব করা হবে কি না—এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবাদের ফরম্যাট নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা সমীচীন নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে মিশনের কার্যক্রম সীমিত করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!