সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক। সংগৃহীত ছবি
‘অন্যের ছেলে-মেয়েদের মানুষ বানাই, পড়াই। কিন্তু নিজের সন্তানদের মানুষ বানাতে পারি না-পড়াতে পারি না, খরচ চালাতে পারি না। তারা তো অমানুষ হয়ে যায়।-কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক।
চার দিন ধরে ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থান করছেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘হোটেলে থাকা, খাওয়া, নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দেওয়া— সবই খুব কষ্টের। তবুও এসেছি, যাতে আমার মতো নতুন শিক্ষকদের কষ্ট না হয়।’ ২০০২ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন নুরুল হক। তিনি জানান, ‘তখন বেতন ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এখন ২০২৫ সালে এসে পাই ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এই টাকায় পাঁচজনের সংসার চলে না। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা তো দূরের কথা, ওষুধ কেনারও টাকা থাকে না।’
তার অভিযোগ, ‘আমাদের চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ ৬০ বছর বয়সে ওষুধেই লাগে তিন-চার হাজার। এটা দিয়ে কীভাবে জীবন চলে?’
নুরুল হক বলেন, ‘একজন অনার্স বা মাস্টার্স পাশ তরুণ কখনোই সাড়ে ১২ হাজার টাকায় চাকরি করবে না। অথচ আমরা এই বেতনেই শিক্ষকতা শুরু করি। তাই এবার দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হয়েছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘যারা রাস্তায় নামে, সরকার তাদের দাবি শোনে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনে না। বলে টাকা নেই। এই জন্যই কি আমাদের ছাত্ররা জীবন দিয়েছে?’
গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এদিকে, আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে, যা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। এর বেশি দেওয়ার মতো অর্থ এখন নেই।’
তবে শিক্ষকরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তারা এখনই ১০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি চান।
বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সহকারী শিক্ষক বেতন পান প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা, আর কলেজ পর্যায়ের একজন প্রভাষক পান ২২ হাজার ৩০০ টাকা— এতে থেকে ১০ শতাংশ অবসর ও কল্যাণ তহবিলে কেটে নেওয়া হয়। সূত্র: এনটিভি।
সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক। সংগৃহীত ছবি
‘অন্যের ছেলে-মেয়েদের মানুষ বানাই, পড়াই। কিন্তু নিজের সন্তানদের মানুষ বানাতে পারি না-পড়াতে পারি না, খরচ চালাতে পারি না। তারা তো অমানুষ হয়ে যায়।-কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক।
চার দিন ধরে ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থান করছেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘হোটেলে থাকা, খাওয়া, নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দেওয়া— সবই খুব কষ্টের। তবুও এসেছি, যাতে আমার মতো নতুন শিক্ষকদের কষ্ট না হয়।’ ২০০২ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন নুরুল হক। তিনি জানান, ‘তখন বেতন ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এখন ২০২৫ সালে এসে পাই ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এই টাকায় পাঁচজনের সংসার চলে না। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা তো দূরের কথা, ওষুধ কেনারও টাকা থাকে না।’
তার অভিযোগ, ‘আমাদের চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ ৬০ বছর বয়সে ওষুধেই লাগে তিন-চার হাজার। এটা দিয়ে কীভাবে জীবন চলে?’
নুরুল হক বলেন, ‘একজন অনার্স বা মাস্টার্স পাশ তরুণ কখনোই সাড়ে ১২ হাজার টাকায় চাকরি করবে না। অথচ আমরা এই বেতনেই শিক্ষকতা শুরু করি। তাই এবার দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হয়েছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘যারা রাস্তায় নামে, সরকার তাদের দাবি শোনে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনে না। বলে টাকা নেই। এই জন্যই কি আমাদের ছাত্ররা জীবন দিয়েছে?’
গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এদিকে, আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে, যা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। এর বেশি দেওয়ার মতো অর্থ এখন নেই।’
তবে শিক্ষকরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তারা এখনই ১০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি চান।
বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সহকারী শিক্ষক বেতন পান প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা, আর কলেজ পর্যায়ের একজন প্রভাষক পান ২২ হাজার ৩০০ টাকা— এতে থেকে ১০ শতাংশ অবসর ও কল্যাণ তহবিলে কেটে নেওয়া হয়। সূত্র: এনটিভি।
সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক। সংগৃহীত ছবি
‘অন্যের ছেলে-মেয়েদের মানুষ বানাই, পড়াই। কিন্তু নিজের সন্তানদের মানুষ বানাতে পারি না-পড়াতে পারি না, খরচ চালাতে পারি না। তারা তো অমানুষ হয়ে যায়।-কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক।
চার দিন ধরে ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থান করছেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘হোটেলে থাকা, খাওয়া, নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দেওয়া— সবই খুব কষ্টের। তবুও এসেছি, যাতে আমার মতো নতুন শিক্ষকদের কষ্ট না হয়।’ ২০০২ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন নুরুল হক। তিনি জানান, ‘তখন বেতন ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এখন ২০২৫ সালে এসে পাই ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এই টাকায় পাঁচজনের সংসার চলে না। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা তো দূরের কথা, ওষুধ কেনারও টাকা থাকে না।’
তার অভিযোগ, ‘আমাদের চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ ৬০ বছর বয়সে ওষুধেই লাগে তিন-চার হাজার। এটা দিয়ে কীভাবে জীবন চলে?’
নুরুল হক বলেন, ‘একজন অনার্স বা মাস্টার্স পাশ তরুণ কখনোই সাড়ে ১২ হাজার টাকায় চাকরি করবে না। অথচ আমরা এই বেতনেই শিক্ষকতা শুরু করি। তাই এবার দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হয়েছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘যারা রাস্তায় নামে, সরকার তাদের দাবি শোনে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনে না। বলে টাকা নেই। এই জন্যই কি আমাদের ছাত্ররা জীবন দিয়েছে?’
গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এদিকে, আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে, যা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। এর বেশি দেওয়ার মতো অর্থ এখন নেই।’
তবে শিক্ষকরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তারা এখনই ১০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি চান।
বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সহকারী শিক্ষক বেতন পান প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা, আর কলেজ পর্যায়ের একজন প্রভাষক পান ২২ হাজার ৩০০ টাকা— এতে থেকে ১০ শতাংশ অবসর ও কল্যাণ তহবিলে কেটে নেওয়া হয়। সূত্র: এনটিভি।
সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক। সংগৃহীত ছবি
‘অন্যের ছেলে-মেয়েদের মানুষ বানাই, পড়াই। কিন্তু নিজের সন্তানদের মানুষ বানাতে পারি না-পড়াতে পারি না, খরচ চালাতে পারি না। তারা তো অমানুষ হয়ে যায়।-কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর সদর উপজেলার করমুল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল হক।
চার দিন ধরে ঢাকায় আন্দোলনে অবস্থান করছেন এই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘হোটেলে থাকা, খাওয়া, নিয়মিত আন্দোলনে যোগ দেওয়া— সবই খুব কষ্টের। তবুও এসেছি, যাতে আমার মতো নতুন শিক্ষকদের কষ্ট না হয়।’ ২০০২ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন নুরুল হক। তিনি জানান, ‘তখন বেতন ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। এখন ২০২৫ সালে এসে পাই ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এই টাকায় পাঁচজনের সংসার চলে না। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা তো দূরের কথা, ওষুধ কেনারও টাকা থাকে না।’
তার অভিযোগ, ‘আমাদের চিকিৎসা ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা। অথচ ৬০ বছর বয়সে ওষুধেই লাগে তিন-চার হাজার। এটা দিয়ে কীভাবে জীবন চলে?’
নুরুল হক বলেন, ‘একজন অনার্স বা মাস্টার্স পাশ তরুণ কখনোই সাড়ে ১২ হাজার টাকায় চাকরি করবে না। অথচ আমরা এই বেতনেই শিক্ষকতা শুরু করি। তাই এবার দাবি আদায়ের জন্য মাঠে নামতেই হয়েছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘যারা রাস্তায় নামে, সরকার তাদের দাবি শোনে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনে না। বলে টাকা নেই। এই জন্যই কি আমাদের ছাত্ররা জীবন দিয়েছে?’
গত ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এদিকে, আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব হবে, যা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। এর বেশি দেওয়ার মতো অর্থ এখন নেই।’
তবে শিক্ষকরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, তারা এখনই ১০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধি চান।
বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন সহকারী শিক্ষক বেতন পান প্রায় ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা, আর কলেজ পর্যায়ের একজন প্রভাষক পান ২২ হাজার ৩০০ টাকা— এতে থেকে ১০ শতাংশ অবসর ও কল্যাণ তহবিলে কেটে নেওয়া হয়। সূত্র: এনটিভি।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!