
ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিশ্বের বিশিষ্ট ইহুদি ব্যক্তিত্বরা জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে গাজায় ইসরায়েলের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কর্মকাণ্ডের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক ইসরায়েলি কর্মকর্তাসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে মোট ৪৬০ জন তাদের নামের সঙ্গে ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠির বিস্তারিত ব্রাসেলসে এক ইইউ নেতাদের বৈঠকের দিনে প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে সইকারীরা দাবি করেছেন, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিধি লঙ্ঘন করছে এবং এজন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিডি) ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়ন ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সইকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক নেসেট স্পিকার আব্রাহাম বার্গ, সাবেক শান্তি আলোচক ড্যানিয়েল লেভি, লেখক নাওমি ক্লেইন, অস্কারজয়ী পরিচালক জোনাথন গ্লেজার, পুলিৎজারজয়ী বেনিয়ামিন মোজারসহ নামী শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তথা কনডাক্টর ইলান ভলকভ, নাট্যকার ভি (ইভ এনসলার) ও টনি পুরস্কারপ্রাপ্ত টবি মার্লো প্রমুখ।
চিঠিতে তারা অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত ও নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষের অপবাদ প্রয়োগকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে প্রমাণ দেখছি যে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা পূরণ করার আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে।’ সইকারীরা হোলোকাস্টের পরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মনযোগ আকর্ষণ করে বলেছেন, সেই বিধানগুলোই বর্তমানে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
একই প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয়েছে সাম্প্রতিক জনমত জরিপের ফলও- যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জরিপগুলোতে অনেক মার্কিন ইহুদিই মনে করছেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে; একটি জরিপে ৬১ শতাংশ মার্কিন ইহুদি মনে করেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং ৩৯ শতাংশ মনে করেন এটি গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহত্তর আমেরিকান জনমতেও একই রকম ঝোঁক দেখা যায়—এক জরিপে ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইসরায়েল গণহত্যা করছে।
চিঠিটি প্রকাশিত হওয়ার পটভূমিতে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল; এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান শক্তিশালী প্রত্যাশা যোগে সামনে আনা হলো।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে সংঘর্ষে বড় ধরণের প্রাণহানির তথ্য-সংখ্যাও সংবাদটিতে উদ্ধৃত করা হয়েছে—যেখানে বিভিন্ন সূত্রে কমপক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এবং উপত্যকার লোকসংখ্যার একটি বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া কিছু আন্তর্জাতিক তদন্ত মিশন গাজায় নির্দিষ্ট নীতি-চলন ও পরিকল্পিত কৌশল সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিশ্বের বিশিষ্ট ইহুদি ব্যক্তিত্বরা জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে গাজায় ইসরায়েলের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কর্মকাণ্ডের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক ইসরায়েলি কর্মকর্তাসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে মোট ৪৬০ জন তাদের নামের সঙ্গে ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠির বিস্তারিত ব্রাসেলসে এক ইইউ নেতাদের বৈঠকের দিনে প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে সইকারীরা দাবি করেছেন, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিধি লঙ্ঘন করছে এবং এজন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিডি) ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়ন ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সইকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক নেসেট স্পিকার আব্রাহাম বার্গ, সাবেক শান্তি আলোচক ড্যানিয়েল লেভি, লেখক নাওমি ক্লেইন, অস্কারজয়ী পরিচালক জোনাথন গ্লেজার, পুলিৎজারজয়ী বেনিয়ামিন মোজারসহ নামী শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তথা কনডাক্টর ইলান ভলকভ, নাট্যকার ভি (ইভ এনসলার) ও টনি পুরস্কারপ্রাপ্ত টবি মার্লো প্রমুখ।
চিঠিতে তারা অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত ও নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষের অপবাদ প্রয়োগকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে প্রমাণ দেখছি যে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা পূরণ করার আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে।’ সইকারীরা হোলোকাস্টের পরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মনযোগ আকর্ষণ করে বলেছেন, সেই বিধানগুলোই বর্তমানে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
একই প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয়েছে সাম্প্রতিক জনমত জরিপের ফলও- যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জরিপগুলোতে অনেক মার্কিন ইহুদিই মনে করছেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে; একটি জরিপে ৬১ শতাংশ মার্কিন ইহুদি মনে করেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং ৩৯ শতাংশ মনে করেন এটি গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহত্তর আমেরিকান জনমতেও একই রকম ঝোঁক দেখা যায়—এক জরিপে ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইসরায়েল গণহত্যা করছে।
চিঠিটি প্রকাশিত হওয়ার পটভূমিতে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল; এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান শক্তিশালী প্রত্যাশা যোগে সামনে আনা হলো।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে সংঘর্ষে বড় ধরণের প্রাণহানির তথ্য-সংখ্যাও সংবাদটিতে উদ্ধৃত করা হয়েছে—যেখানে বিভিন্ন সূত্রে কমপক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এবং উপত্যকার লোকসংখ্যার একটি বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া কিছু আন্তর্জাতিক তদন্ত মিশন গাজায় নির্দিষ্ট নীতি-চলন ও পরিকল্পিত কৌশল সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিশ্বের বিশিষ্ট ইহুদি ব্যক্তিত্বরা জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে গাজায় ইসরায়েলের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কর্মকাণ্ডের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক ইসরায়েলি কর্মকর্তাসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে মোট ৪৬০ জন তাদের নামের সঙ্গে ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠির বিস্তারিত ব্রাসেলসে এক ইইউ নেতাদের বৈঠকের দিনে প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে সইকারীরা দাবি করেছেন, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিধি লঙ্ঘন করছে এবং এজন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিডি) ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়ন ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সইকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক নেসেট স্পিকার আব্রাহাম বার্গ, সাবেক শান্তি আলোচক ড্যানিয়েল লেভি, লেখক নাওমি ক্লেইন, অস্কারজয়ী পরিচালক জোনাথন গ্লেজার, পুলিৎজারজয়ী বেনিয়ামিন মোজারসহ নামী শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তথা কনডাক্টর ইলান ভলকভ, নাট্যকার ভি (ইভ এনসলার) ও টনি পুরস্কারপ্রাপ্ত টবি মার্লো প্রমুখ।
চিঠিতে তারা অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত ও নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষের অপবাদ প্রয়োগকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে প্রমাণ দেখছি যে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা পূরণ করার আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে।’ সইকারীরা হোলোকাস্টের পরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মনযোগ আকর্ষণ করে বলেছেন, সেই বিধানগুলোই বর্তমানে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
একই প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয়েছে সাম্প্রতিক জনমত জরিপের ফলও- যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জরিপগুলোতে অনেক মার্কিন ইহুদিই মনে করছেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে; একটি জরিপে ৬১ শতাংশ মার্কিন ইহুদি মনে করেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং ৩৯ শতাংশ মনে করেন এটি গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহত্তর আমেরিকান জনমতেও একই রকম ঝোঁক দেখা যায়—এক জরিপে ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইসরায়েল গণহত্যা করছে।
চিঠিটি প্রকাশিত হওয়ার পটভূমিতে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল; এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান শক্তিশালী প্রত্যাশা যোগে সামনে আনা হলো।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে সংঘর্ষে বড় ধরণের প্রাণহানির তথ্য-সংখ্যাও সংবাদটিতে উদ্ধৃত করা হয়েছে—যেখানে বিভিন্ন সূত্রে কমপক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এবং উপত্যকার লোকসংখ্যার একটি বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া কিছু আন্তর্জাতিক তদন্ত মিশন গাজায় নির্দিষ্ট নীতি-চলন ও পরিকল্পিত কৌশল সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিশ্বের বিশিষ্ট ইহুদি ব্যক্তিত্বরা জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে গাজায় ইসরায়েলের ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কর্মকাণ্ডের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক ইসরায়েলি কর্মকর্তাসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী মিলিয়ে মোট ৪৬০ জন তাদের নামের সঙ্গে ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠির বিস্তারিত ব্রাসেলসে এক ইইউ নেতাদের বৈঠকের দিনে প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিতে সইকারীরা দাবি করেছেন, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিধি লঙ্ঘন করছে এবং এজন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা প্রয়োজন। তারা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিডি) ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) রায় বাস্তবায়ন ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সইকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক নেসেট স্পিকার আব্রাহাম বার্গ, সাবেক শান্তি আলোচক ড্যানিয়েল লেভি, লেখক নাওমি ক্লেইন, অস্কারজয়ী পরিচালক জোনাথন গ্লেজার, পুলিৎজারজয়ী বেনিয়ামিন মোজারসহ নামী শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তথা কনডাক্টর ইলান ভলকভ, নাট্যকার ভি (ইভ এনসলার) ও টনি পুরস্কারপ্রাপ্ত টবি মার্লো প্রমুখ।
চিঠিতে তারা অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত ও নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলায় সমালোচকদের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিদ্বেষের অপবাদ প্রয়োগকে প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধও করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে প্রমাণ দেখছি যে, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার আইনগত সংজ্ঞা পূরণ করার আশঙ্কা উসকে দিচ্ছে।’ সইকারীরা হোলোকাস্টের পরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোর প্রতি মনযোগ আকর্ষণ করে বলেছেন, সেই বিধানগুলোই বর্তমানে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
একই প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা হয়েছে সাম্প্রতিক জনমত জরিপের ফলও- যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত জরিপগুলোতে অনেক মার্কিন ইহুদিই মনে করছেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে; একটি জরিপে ৬১ শতাংশ মার্কিন ইহুদি মনে করেন ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং ৩৯ শতাংশ মনে করেন এটি গণহত্যার পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহত্তর আমেরিকান জনমতেও একই রকম ঝোঁক দেখা যায়—এক জরিপে ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন ইসরায়েল গণহত্যা করছে।
চিঠিটি প্রকাশিত হওয়ার পটভূমিতে ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল; এ সময় বিশ্বনেতাদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান শক্তিশালী প্রত্যাশা যোগে সামনে আনা হলো।
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে সংঘর্ষে বড় ধরণের প্রাণহানির তথ্য-সংখ্যাও সংবাদটিতে উদ্ধৃত করা হয়েছে—যেখানে বিভিন্ন সূত্রে কমপক্ষে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হওয়ার তথ্য উঠে এসেছে এবং উপত্যকার লোকসংখ্যার একটি বড় অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া কিছু আন্তর্জাতিক তদন্ত মিশন গাজায় নির্দিষ্ট নীতি-চলন ও পরিকল্পিত কৌশল সম্পর্কেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!