মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান। সৃষ্টির শুরু থেকেই তার একমাত্র লক্ষ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করা আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশনার বিপরীতে অহংকার ও ঔদ্ধত প্রকাশ করা। সেজন্যই আল্লাহ তাআলা তাকে বলেছিলেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪) আরও কিছু মারাত্মক অপরাধে অভ্যস্থ শয়তান, যা তাকে চিরতরে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করেছে। কোরআনের আলোকে জানুন সেরকম ৬টি অপরাধ।
১. হিংসা হিংসাই শয়তানকে প্রথম পথভ্রষ্ট করেছিল। মানুষকে আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। এই হিংসাই তাকে আদম (আ.)-কে সেজদা করতে বাধা দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘তোমরা আদমকে সেজদা করো’, তখন তারা সেজদা করল, ইবলিশ ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল এবং আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হল।’ (সুরা বাকারা: ৩৪)
২. অহংকার আদম (আ.)-কে সেজদা করতে অস্বীকার করে শয়তান তার অহংকার প্রকাশ করে বলেছিল- ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা আরাফ: ১২)
৩. আল্লাহর আদেশ প্রত্যাখ্যান আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা শয়তানের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য। সে কখনোই আনুগত্য করে না, বরং সবসময় বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হেফাজত করেছি।’ (সুরা সাফফাত: ৬-৭)
৪. কুমন্ত্রণা দেওয়া মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়াই শয়তানের প্রধান হাতিয়ার। ইবাদতের সময় কিংবা অন্য যেকোনো সুযোগে সে মনের ভেতরে সন্দেহ ও প্ররোচনা ছড়িয়ে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্টতা থেকে... যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।’ (সুরা নাস: ৪-৫)
৫. সীমালঙ্ঘনে উদ্বুদ্ধ করা শয়তান সর্বদা সীমালঙ্ঘনকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সে মানুষকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করতে প্ররোচিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই জমিনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয়ই তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব।’ (সুরা হিজর: ৩৯)
৬. অশ্লীলতায় উৎসাহ মন্দ ও অশ্লীল কাজে উদ্বুদ্ধ করাই শয়তানের প্রধান কৌশল। সে মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল রাখতে নানা অশ্লীলতায় লিপ্ত করে। ‘নিশ্চয়ই সে তোমাদের আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা: ১৬৯)
শয়তানের এই ৬টি মারাত্মক অপরাধের ফলেই আল্লাহ তাকে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪)
শয়তানের হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের দায়িত্ব। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে কিছু করণীয় হলো—
১. শয়তানকে শত্রুজ্ঞান করা: ‘শয়তান তো তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কোরো।’ (সুরা ফাতির: ৬)
২. ঈমানের ওপর দৃঢ় থাকা: ‘নিশ্চয়ই তার কোনো আধিপত্য নাই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ (সুরা ফাতির: ৯৯)
৩. আল্লাহর জিকির করা: ‘শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ।’ (সুরা মুজাদালা: ১৯)
৪. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা: ‘বলুন, হে আমার প্রতিপালক, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৭)
৫. আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়া: ‘আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনো ক্ষমতা থাকবে না।’ (সুরা হিজর: ৪২)
শয়তানের এই মারাত্মক অপরাধগুলো প্রতিটি মানুষের জন্যও সতর্কবার্তা। হিংসা, অহংকার ও অবাধ্যতা মানুষকেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন, আমরা এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকি এবং সর্বদা শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের সকল প্ররোচনা থেকে। আমাদেরকে তার অনুসরণ করা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান। সৃষ্টির শুরু থেকেই তার একমাত্র লক্ষ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করা আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশনার বিপরীতে অহংকার ও ঔদ্ধত প্রকাশ করা। সেজন্যই আল্লাহ তাআলা তাকে বলেছিলেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪) আরও কিছু মারাত্মক অপরাধে অভ্যস্থ শয়তান, যা তাকে চিরতরে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করেছে। কোরআনের আলোকে জানুন সেরকম ৬টি অপরাধ।
১. হিংসা হিংসাই শয়তানকে প্রথম পথভ্রষ্ট করেছিল। মানুষকে আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। এই হিংসাই তাকে আদম (আ.)-কে সেজদা করতে বাধা দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘তোমরা আদমকে সেজদা করো’, তখন তারা সেজদা করল, ইবলিশ ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল এবং আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হল।’ (সুরা বাকারা: ৩৪)
২. অহংকার আদম (আ.)-কে সেজদা করতে অস্বীকার করে শয়তান তার অহংকার প্রকাশ করে বলেছিল- ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা আরাফ: ১২)
৩. আল্লাহর আদেশ প্রত্যাখ্যান আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা শয়তানের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য। সে কখনোই আনুগত্য করে না, বরং সবসময় বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হেফাজত করেছি।’ (সুরা সাফফাত: ৬-৭)
৪. কুমন্ত্রণা দেওয়া মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়াই শয়তানের প্রধান হাতিয়ার। ইবাদতের সময় কিংবা অন্য যেকোনো সুযোগে সে মনের ভেতরে সন্দেহ ও প্ররোচনা ছড়িয়ে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্টতা থেকে... যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।’ (সুরা নাস: ৪-৫)
৫. সীমালঙ্ঘনে উদ্বুদ্ধ করা শয়তান সর্বদা সীমালঙ্ঘনকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সে মানুষকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করতে প্ররোচিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই জমিনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয়ই তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব।’ (সুরা হিজর: ৩৯)
৬. অশ্লীলতায় উৎসাহ মন্দ ও অশ্লীল কাজে উদ্বুদ্ধ করাই শয়তানের প্রধান কৌশল। সে মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল রাখতে নানা অশ্লীলতায় লিপ্ত করে। ‘নিশ্চয়ই সে তোমাদের আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা: ১৬৯)
শয়তানের এই ৬টি মারাত্মক অপরাধের ফলেই আল্লাহ তাকে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪)
শয়তানের হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের দায়িত্ব। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে কিছু করণীয় হলো—
১. শয়তানকে শত্রুজ্ঞান করা: ‘শয়তান তো তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কোরো।’ (সুরা ফাতির: ৬)
২. ঈমানের ওপর দৃঢ় থাকা: ‘নিশ্চয়ই তার কোনো আধিপত্য নাই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ (সুরা ফাতির: ৯৯)
৩. আল্লাহর জিকির করা: ‘শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ।’ (সুরা মুজাদালা: ১৯)
৪. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা: ‘বলুন, হে আমার প্রতিপালক, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৭)
৫. আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়া: ‘আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনো ক্ষমতা থাকবে না।’ (সুরা হিজর: ৪২)
শয়তানের এই মারাত্মক অপরাধগুলো প্রতিটি মানুষের জন্যও সতর্কবার্তা। হিংসা, অহংকার ও অবাধ্যতা মানুষকেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন, আমরা এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকি এবং সর্বদা শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের সকল প্ররোচনা থেকে। আমাদেরকে তার অনুসরণ করা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান। সৃষ্টির শুরু থেকেই তার একমাত্র লক্ষ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করা আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশনার বিপরীতে অহংকার ও ঔদ্ধত প্রকাশ করা। সেজন্যই আল্লাহ তাআলা তাকে বলেছিলেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪) আরও কিছু মারাত্মক অপরাধে অভ্যস্থ শয়তান, যা তাকে চিরতরে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করেছে। কোরআনের আলোকে জানুন সেরকম ৬টি অপরাধ।
১. হিংসা হিংসাই শয়তানকে প্রথম পথভ্রষ্ট করেছিল। মানুষকে আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। এই হিংসাই তাকে আদম (আ.)-কে সেজদা করতে বাধা দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘তোমরা আদমকে সেজদা করো’, তখন তারা সেজদা করল, ইবলিশ ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল এবং আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হল।’ (সুরা বাকারা: ৩৪)
২. অহংকার আদম (আ.)-কে সেজদা করতে অস্বীকার করে শয়তান তার অহংকার প্রকাশ করে বলেছিল- ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা আরাফ: ১২)
৩. আল্লাহর আদেশ প্রত্যাখ্যান আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা শয়তানের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য। সে কখনোই আনুগত্য করে না, বরং সবসময় বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হেফাজত করেছি।’ (সুরা সাফফাত: ৬-৭)
৪. কুমন্ত্রণা দেওয়া মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়াই শয়তানের প্রধান হাতিয়ার। ইবাদতের সময় কিংবা অন্য যেকোনো সুযোগে সে মনের ভেতরে সন্দেহ ও প্ররোচনা ছড়িয়ে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্টতা থেকে... যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।’ (সুরা নাস: ৪-৫)
৫. সীমালঙ্ঘনে উদ্বুদ্ধ করা শয়তান সর্বদা সীমালঙ্ঘনকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সে মানুষকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করতে প্ররোচিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই জমিনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয়ই তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব।’ (সুরা হিজর: ৩৯)
৬. অশ্লীলতায় উৎসাহ মন্দ ও অশ্লীল কাজে উদ্বুদ্ধ করাই শয়তানের প্রধান কৌশল। সে মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল রাখতে নানা অশ্লীলতায় লিপ্ত করে। ‘নিশ্চয়ই সে তোমাদের আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা: ১৬৯)
শয়তানের এই ৬টি মারাত্মক অপরাধের ফলেই আল্লাহ তাকে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪)
শয়তানের হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের দায়িত্ব। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে কিছু করণীয় হলো—
১. শয়তানকে শত্রুজ্ঞান করা: ‘শয়তান তো তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কোরো।’ (সুরা ফাতির: ৬)
২. ঈমানের ওপর দৃঢ় থাকা: ‘নিশ্চয়ই তার কোনো আধিপত্য নাই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ (সুরা ফাতির: ৯৯)
৩. আল্লাহর জিকির করা: ‘শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ।’ (সুরা মুজাদালা: ১৯)
৪. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা: ‘বলুন, হে আমার প্রতিপালক, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৭)
৫. আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়া: ‘আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনো ক্ষমতা থাকবে না।’ (সুরা হিজর: ৪২)
শয়তানের এই মারাত্মক অপরাধগুলো প্রতিটি মানুষের জন্যও সতর্কবার্তা। হিংসা, অহংকার ও অবাধ্যতা মানুষকেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন, আমরা এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকি এবং সর্বদা শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের সকল প্ররোচনা থেকে। আমাদেরকে তার অনুসরণ করা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
মানবজাতির চিরশত্রু শয়তান। সৃষ্টির শুরু থেকেই তার একমাত্র লক্ষ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করা আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশনার বিপরীতে অহংকার ও ঔদ্ধত প্রকাশ করা। সেজন্যই আল্লাহ তাআলা তাকে বলেছিলেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪) আরও কিছু মারাত্মক অপরাধে অভ্যস্থ শয়তান, যা তাকে চিরতরে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করেছে। কোরআনের আলোকে জানুন সেরকম ৬টি অপরাধ।
১. হিংসা হিংসাই শয়তানকে প্রথম পথভ্রষ্ট করেছিল। মানুষকে আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। এই হিংসাই তাকে আদম (আ.)-কে সেজদা করতে বাধা দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, ‘তোমরা আদমকে সেজদা করো’, তখন তারা সেজদা করল, ইবলিশ ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল এবং আর সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হল।’ (সুরা বাকারা: ৩৪)
২. অহংকার আদম (আ.)-কে সেজদা করতে অস্বীকার করে শয়তান তার অহংকার প্রকাশ করে বলেছিল- ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।’ (সুরা আরাফ: ১২)
৩. আল্লাহর আদেশ প্রত্যাখ্যান আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা শয়তানের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য। সে কখনোই আনুগত্য করে না, বরং সবসময় বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হেফাজত করেছি।’ (সুরা সাফফাত: ৬-৭)
৪. কুমন্ত্রণা দেওয়া মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়াই শয়তানের প্রধান হাতিয়ার। ইবাদতের সময় কিংবা অন্য যেকোনো সুযোগে সে মনের ভেতরে সন্দেহ ও প্ররোচনা ছড়িয়ে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্টতা থেকে... যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়।’ (সুরা নাস: ৪-৫)
৫. সীমালঙ্ঘনে উদ্বুদ্ধ করা শয়তান সর্বদা সীমালঙ্ঘনকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সে মানুষকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করতে প্ররোচিত করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে বলল, হে আমার রব, যেহেতু আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তাই জমিনে আমি তাদের জন্য (পাপকে) শোভিত করব এবং নিশ্চয়ই তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট করব।’ (সুরা হিজর: ৩৯)
৬. অশ্লীলতায় উৎসাহ মন্দ ও অশ্লীল কাজে উদ্বুদ্ধ করাই শয়তানের প্রধান কৌশল। সে মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল রাখতে নানা অশ্লীলতায় লিপ্ত করে। ‘নিশ্চয়ই সে তোমাদের আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলতে, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা: ১৬৯)
শয়তানের এই ৬টি মারাত্মক অপরাধের ফলেই আল্লাহ তাকে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন- ‘বেরিয়ে যাও এখান থেকে। কারণ তুমি হলে অভিশপ্ত।’ (সুরা হিজর: ৩৪)
শয়তানের হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় শয়তানের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের দায়িত্ব। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে কিছু করণীয় হলো—
১. শয়তানকে শত্রুজ্ঞান করা: ‘শয়তান তো তোমাদের শত্রু; সুতরাং তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কোরো।’ (সুরা ফাতির: ৬)
২. ঈমানের ওপর দৃঢ় থাকা: ‘নিশ্চয়ই তার কোনো আধিপত্য নাই তাদের ওপর যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ (সুরা ফাতির: ৯৯)
৩. আল্লাহর জিকির করা: ‘শয়তান তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, ফলে তাদেরকে ভুলিয়ে দিয়েছে আল্লাহর স্মরণ।’ (সুরা মুজাদালা: ১৯)
৪. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা: ‘বলুন, হে আমার প্রতিপালক, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা থেকে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯৭)
৫. আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়া: ‘আমার বান্দাদের ওপর তোমার কোনো ক্ষমতা থাকবে না।’ (সুরা হিজর: ৪২)
শয়তানের এই মারাত্মক অপরাধগুলো প্রতিটি মানুষের জন্যও সতর্কবার্তা। হিংসা, অহংকার ও অবাধ্যতা মানুষকেও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন, আমরা এসব অভ্যাস থেকে দূরে থাকি এবং সর্বদা শয়তানের ধোঁকা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করি। ‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের সকল প্ররোচনা থেকে। আমাদেরকে তার অনুসরণ করা থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার সন্তুষ্টির পথে অবিচল রাখুন। আমিন।
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!